কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উড্ডয়ন ও কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়।
র্যালি শেষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দীসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনগুলোও এই সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনায় উপ-উপাচার্য ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯০০ ডলার থেকে ২৮০০ ডলারে এসেছে। এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্য আমাদেরকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের আদর্শের সৈনিকদের একত্র হওয়া ছাড়া উপায় নাই। আজকের এই ১৪ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের সেই শপথ হোক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি বললেই হয় না, মনে ধারণ করতে হয়। শহিদদের প্রতি ভালোবাসা মন থেকে আসতে হবে। তাই শুধু ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে কোনো ধরে ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি উচিত নয়। আজকে অপশক্তি কিন্তু বড় শক্তি হয়ে যাচ্ছে। এখানে অনেকেই বলে আমি নাকি তাদের সাহায্য করছি। কিন্তু এখন তাহলে তারা কোথায়? তাদের শ্রদ্ধা কোথায়? আমাদের বাংলাদেশকে ধারণ করতে হবে আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে। সেটা যদি আমরা করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে ।
পরবর্তীতে দুপুরে যোহরের নামাজের পর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কেন্দ্রিয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।